Tuesday, October 4, 2016

৫ দিনেও খোঁজ মেলে নি ডাঃরিয়াদের


                 
ডা. রিয়াদ-নাসের-চৌধুরী
অপহরণের চারদিন পরও খোঁজ মেলেনি পল্লবীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.রিয়াদ নাসের চৌধুরীর।অভিযোগের তীর রয়েছে কোস্ট গার্ডের লে.কমান্ডার ফরহাদ সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে তারা উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। তবে ঘটনার চারদিন পার হয়ে গেলেও কোনও খোঁজ না পাওয়ায় শঙ্কা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অপহৃতের ভাই মেধাদ নাসের চৌধুরী।
পুলিশ ও অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বরের পল্লবীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে মেডিক্যাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করছিলেন ডা.রিয়াদ নাসের চৌধুরী। বিকালে তার সহকর্মী ডা. মো. সালেককে নিয়ে পূরবী সিনেমা হলের পাশে একটি চায়ের দোকানে চা পান করতে যায় সে। এ সময় পাশেই একটি গাড়িতে থাকা তিনজন এসে রিয়াদের নাম জিজ্ঞেস করে তাদের সঙ্গে যেতে বলে। প্রথমে যেতে না চাইলে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে রিয়াদকে জোর করে গাড়িতে তুলে মিরপুর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের দিকে চলে যায়। মাইক্রোবাসটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর (ঢাকা মেট্রো চ-৫৩-১৩৮২)।
অপহৃতের ভাই মেধাদ নাসের চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, খবর পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন। রিয়াদের ব্যবহৃত মোবাইলটি তখন থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নাম্বর ৭১।

মেধাদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘ডা. লুনা আনিকা নামে আমার ভাইয়ের এক বান্ধবী ছিল। নর্থ সাউথে মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথে পড়ার সময় তাদের বন্ধুত্ব হয়। বিগত কিছুদিন ধরে স্বামী কোস্ট গার্ডের লে. কমান্ডার ফরহাদ সরকারের সঙ্গে লুনার কোনও কারণে ঝামেলা হয়। আর   এর জন্য ফরহাদ আমার ভাইকে দোষারোপ করে। বিভিন্নভাবে আমার ভাইকে ভয় দেখানো হয়।’
এর আগে গত ১৬ আগস্টে একইভাবে তার ভাইকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে জানান মেধাদ। তিনি বলেন, ‘ওইদিন সেকশন সাড়ে ১১ কনভেনশন হলের সামনে মেইন রোডে লুনার সঙ্গে আমার ভাইয়ের দেখা হয়। এ সময় কয়েকজন এসে আমার ভাইকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।’
ওইদিন কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে তুলে নেওয়ার সময় অজ্ঞাতরা নিজেদের ডিটেকটিভ টিমের সদস্য বলে পরিচয় দেয়।পরবর্তীতে পল্লবী থানায় গেলে এদের কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। উল্টো তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন মেধাদ নাসের।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কোনও শত্রু নেই। তার শুধু দ্বন্দ্ব ছিল   ফরহাদের সঙ্গে। তিনিই আমার ভাইকে তুলে নিয়েছেন। এর আগে কমান্ডার ফরহাদ মোবাইলে আমার ভাইকে এনকাউন্টার করার হুমকি দেন। এখন তাকে তুলে নিয়ে গেছে।’
টাকার জন্য তাকে তুলে নেওয়া হয়নি বলে জানান মেধাদ নাসের। তার ভাষ্যমতে, ‘আমার ভাইয়ের মতো গরীব মানুষকে টাকা জন্য তুলে নেওয়ার মতো বোকামি কেউ করবে আমার মনে হয় না। এছাড়া টাকার জন্য নিয়ে গেলে আমাদের কাছে ফোন আসতো। কিন্তু আমাদের কাছে টাকা চেয়ে এখনও কোনও ফোন আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কোনও দোষ নেই। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এটা ওদের ব্যাপার। আমার ভাইয়ের সঙ্গে এখন ফরহাদ ও তার স্ত্রী লুনার কোনও সম্পর্ক নেই। পরবর্তীতে আমার ভাই আর কোনও যোগাযোগ লুনার সঙ্গে করেনি। আমি জানি না আমার ভাই কেমন আছে, কোথায় আছে? আমি ভাইকে ফেরত চাই।’
অপহৃতের ভাইয়ের করা অভিযোগের ব্যাপারে লে. কমান্ডার ফরহাদ সরকারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরই তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করে ও এসএমএস করেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাদন ফকির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের এখানে অপহৃতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অপহরণের সময় গাড়িতে যে নাম্বারটা ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই নাম্বারের গাড়িটা পাওয়া গেছে। তবে গাড়ির শুধু নাম্বারটা ব্যবহার করে অপরাধীরা। এই নাম্বারের গাড়িটা মানিকগঞ্জের ঘেয়র থানা হেফাজতে আগে থেকেই ছিল। তবে অপহরণকালে ব্যবহৃত গাড়িটি আটক করা যায়নি। সিটিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। আমরা যাচাই করে দেখছি। এছাড়া মামলার আর তেমন কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই

Source - http://banglatribune.com

http://www.dhakatribune.com/bangladesh/crime/2016/10/04/no-trace-doctor-5-days-since-abduction/
Share:

0 comments:

Post a Comment

Definition List

Unordered List

Support

সকল