Download

Download most essential Medical books

Doctors

Doctor Details

News

details

Doctors Chamber>

Doctors Chamber address

Everything

Everything

Tuesday, December 20, 2016

আমেরিকায় নারী চিকিৎসকের কাছে রোগী সুস্থ হয় বেশি

হাসপাতালে নারী চিকিৎসকের কাছে রোগী সুস্থ হওয়ার হার বেশি। তাঁদের কাছে সেবা পাওয়া রোগীর মৃত্যুঝুঁকিও কম। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড টি এইচ চ্যান স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষণায় এ তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১১ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১০ লাখের বেশি রোগীর ওপর এ গবেষণা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, রোগীরা নারী চিকিৎসকের সেবা পেলে তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি পুরুষ চিকিৎসকদের সেবা পাওয়া রোগীর তুলনায় ৪ শতাংশ কম। আবার সেবা নিয়ে চলে গেছেন
তাঁদের হাসপাতালে পুনরায় ভর্তি হওয়ার হার ৫ শতাংশ কম।

গবেষকেরা বলছেন, নারী ও পুরুষ চিকিৎসকের সেবার পার্থক্যের কারণে ফলাফলে কী ভিন্নতা আসে তা নিয়ে সম্ভবত এটাই প্রথম কোনো গবেষণা। গবেষণাটি গতকাল সোমবার আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সাময়িকী জেএএমএ ইন্টারন্যাল মেডিসিনের অনলাইন সংস্করণে ছাপা হয়েছে।

গবেষণার আওতায় থাকা রোগীদের বয়স ছিল ৬৫ বছর বা তার বেশি। এঁদের মধ্যে অনেকেই ছিলেন মারাত্মক অসুস্থ। এঁদের চিকিৎসা দিয়েছিলেন ৫৮ হাজার ৩৪৪ চিকিৎসক। এঁদের মধ্যে ১৮ হাজার ৭৫১ জন (৩২.১ শতাংশ) ছিলেন নারী চিকিৎসক। নারী চিকিৎসকদের বয়স ছিল তুলনায় কম, এঁদের অনেকেরই অস্থির চিকিৎসায় প্রশিক্ষণ ছিল। এঁরা পুরুষের তুলনায় কম রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন।

এ গবেষণার ফলাফল নিয়ে এই প্রতিবেদক বাংলাদেশে চিকিৎসা ও রোগী ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত চারজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছেন।

জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের মেডিকেল অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক পারভিন শাহিদা আখতার বলেন, ইউরোপভিত্তিক ক্যানসার চিকিৎসকদের সংগঠন (ইসমো-ইউরোপিয়ান সোসাইটি অব মেডিকেল অনকোলজিস্ট) দাবি করে ক্যানসার চিকিৎসায় পুরুষের তুলনায় নারী চিকিৎসকের কাজের ফল ভালো। এর কারণ, নারী চিকিৎসক রোগীর ব্যাপারে বেশি সহানুভূতিশীল, বেশি মনোযোগ দিয়ে রোগীর কথা শোনেন, রোগীকে বেশি সময় দেন। নিজের কাজের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে তিনি বলেন, ‘মাঝেমধ্যে আমি রোগী নেফ্রোলজি বা হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠাই (রেফার)। রোগীরা ফিরে এসে মহিলা ডাক্তারদের কথাই ভালো বলেন, মহিলা ডাক্তারের কাছেই পাঠাতে বলেন।’

অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত নাক-কান-গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। দুই দফায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘গবেষণা ফলাফলের সঙ্গে আমি ১০০ ভাগ একমত। নারী চিকিৎসকদের আন্তরিকতা বেশি, কাজে ফাঁকি কম দেয়, ধান্দা কম। এগুলো রোগী সুস্থ হয়ে ওঠার ওপর প্রভাব ফেলে।’

বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালের পরিচালক (কমিউনিকেশন অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট) শাগুফা আনোয়ার বলেন, ‘নারী চিকিৎসকেরা সময়মতো রোগীর পাশে থাকে। রোগীর ডকুমেন্টেশন ভালো করে। যত্ন নিয়ে রোগীর কাউন্সেলিং করে। ফাঁকি কম দেয়, অজুহাত কম দেয়। এসব গুণ অবশ্যই রোগীর সেরে ওঠার ওপর প্রভাব ফেলে।’

তবে এ বিষয়ে কিছুটা ভিন্নমত দিয়েছেন বিএসএমএমইউর মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে এ ব্যাপারে মতামত দেওয়া মুশকিল। একজন চিকিৎসক রোগীকে কতটা সুস্থ করতে পারবেন তা নির্ভর করে তিনি নিজেকে কতটা দক্ষ করে তুলতে পেরেছেন তার ওপর। এ ক্ষেত্রে যোগ্যতাই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’

যুক্তরাষ্ট্রের এই গবেষণায় এটা চিহ্নিত করা যায়নি যে কেন নারী চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে তাতে বলা হয়েছে, আগে একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নারী ও পুরুষ চিকিৎসকদের মধ্যে পেশা চর্চায় ভিন্নতা আছে। নারী চিকিৎসকেরা নির্দেশিকা মেনে পেশা চর্চায় অধিকতর অবিচল থাকেন। এ ছাড়া তাঁরা প্রতিরোধমূলক সেবাও বেশি দেন। বর্তমান গবেষণা থেকে সেবার মান উন্নত করার মতো বিষয় পাওয়া যাবে বলে গবেষকেরা ধারণা করছেন
Share:

ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি নয় !!

মন চাইলেই যাঁরা উচ্চমাত্রার অ্যান্টিবায়োটিক কেনেন ও বিক্রি করেন—তাঁদের জন্য দুঃসংবাদ। নতুন ওষুধনীতিতে জ্বর, সর্দি, মাথা ও পেটব্যথার মতো রোগের ওষুধ ছাড়া অন্য কোনো ওষুধ আর চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া পাওয়া যাবে না।
অ্যান্টিবায়োটিক, হরমোনজনিত সমস্যার ওষুধ, ঘুমের ওষুধের মতো স্পর্শকাতর ওষুধ বিক্রির ক্ষেত্রে জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬-তে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

সোমবার মন্ত্রিসভায় জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধপ্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক আ ব ম ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, বাজারে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ধরনের জেনেরিক ওষুধ আছে, এর মধ্যে ৩৯টি জেনারের ওষুধ চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় ওষুধনীতি প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক আ ব ম ফারুক আরও জানান, বাজারে ৩৯টি জেনারের প্রায় দুই হাজার ওষুধ রয়েছে।

অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছ ব্যবহারের কারণে ওষুধ কার্যকারিতা হারাচ্ছে এবং সহজে রোগ সারছে না। এই প্রেক্ষাপটেই দীর্ঘদিন ধরে পরামর্শপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক বিক্রি নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়ে আসছিলেন জনস্বাস্থ্যকর্মীরা।

নতুন ওষুধনীতিতে ওষুধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহারে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। আরও বলা হয়েছে, দেশে পর্যায়ক্রমে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে স্নাতক ফার্মাসিস্টের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ওষুধের কেনাবেচা হবে। এ ছাড়া ১০০ বা তার বেশি শয্যাবিশিষ্ট সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অ্যান্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে নিজস্ব ‘অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার নির্দেশিকা’ থাকতে হবে, নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে এবং চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সময় তা মানতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

নতুন ওষুধনীতিতে জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর লক্ষ্যে হলো নকল, ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ তৈরি ও বিপণন রোধ করা।
খসড়ায় বলা হয়েছে, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। আইনে শাস্তি নির্ধারণ করা হবে। নীতিমালা অনুযায়ী ওষুধের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। জনস্বার্থে দাম নির্ধারণ করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। কেউ বেশি দাম নিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক রুহুল আমিন বলেছেন, ওষুধ যেন যথেচ্ছভাবে কেনাবেচা না হয়, সেজন্য নজরদারি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বৈঠক শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, বিশ্বের ১২২টি বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে। বিশ্বের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সদন ও স্বীকৃতি লাভ করেছে বাংলাদেশের ওষুধ। তিনি বলেন, প্রায় ১১ বছর পর আন্তর্জাতিক চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে নীতিমালাটি যুগোপযোগী করা হয়েছে।

বৈঠকে নজরুল ইনস্টিটিউট, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন এবং কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস আইনের খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়েছে









------------------------------

Share:

Definition List

Unordered List

Support

সকল