Download

Download most essential Medical books

Doctors

Doctor Details

News

details

Doctors Chamber>

Doctors Chamber address

Everything

Everything

Sunday, October 23, 2016

ক্যানসার গবেষণায় বাংলাদেশি বিজ্ঞানীরসাফল্য

বর্তমান সময়ে সম্ভবত ক্যানসার সবচেয়ে আলোচিত ও ভীতিকর রোগ। ক্যানসার নিয়ে মানুষের মধ্যে রয়েছে অনেক অজ্ঞতা ও অসচেতনতা। মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের ক্যানসার হতে পারে। সকল ক্যানসারের ভয়াবহতা ও পরিণতি এক নয়। ক্যানসার যদি খুব শুরুতেই শনাক্ত (early diagnosis) করা যায় তাহলে এর চিকিৎসা অনেক সহজ হয়ে যায়। আর এ থেকে মুক্তির সম্ভাবনাও বেড়ে যায় বহু গুনে। ক্যানসার শনাক্ত করার জন্য আমরা বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করি। শনাক্তকরণ প্রক্রিয়ায় প্রচলিত এসব পদ্ধতিগুলোর রয়েছে নানাবিধ সীমাবদ্ধতা। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে (early stage) ক্যানসার শনাক্তকরণের সহজ ও অধিক কার্যকরী (more efficient) পদ্ধতি উদ্ভাবনের কাজে নিয়োজিত আছেন গবেষকেরা। বাংলাদেশের সন্তান ড. মো. জসিম উদ্দিন চিকিৎসা বিজ্ঞানের তেমনই একটি বিষয়ে গবেষণা করছেন আমেরিকার ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে (Vanderbilt University)।
ক্যানসারের প্রাথমিক পর্যায়েই আক্রান্ত কোষগুলোতে কক্স-২ (COX-2) নামক একটি এনজাইমকে অতিমাত্রায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। মো. জসিম উদ্দিন ও তাঁর গবেষণা দল বিশেষ আলোক সংবেদী কিছু রাসায়নিক যৌগ আবিষ্কার করেছেন। যেগুলো নির্দিষ্টভাবে (Selectively) কক্স-২ এনজাইমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শুধুমাত্র ক্যানসার আক্রান্ত কোষগুলোকে শনাক্ত করতে সক্ষম। বিষয়টিকে জোনাকি পোকার সঙ্গে তুলনা করুন। অন্ধকারে যখন জোনাকি পোকারা জ্বলে ওঠে, তখনই এদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। পেটেন্টেড (Patent No. US 2010 / 0254910) এই রাসায়নিক যৌগগুলোর একটি ফ্লোরকক্সিব এ (Fluorocoxib A) নামে পরিচিত। প্রাণীর দেহে প্রবেশ করানোর পর এটি কক্স-২ এনজাইমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তীব্রভাবে জ্বলে ওঠে। আক্রান্ত কোষগুলোতে খুব সামান্য পরিমাণে কক্স-২ এনজাইম উপস্থিত থাকলেও সেগুলোকে সহজেই শনাক্ত করা যাচ্ছে। তার এই আবিষ্কার ২০১০ সালে প্রকাশিত হয়েছে একটি আন্তর্জাতিক মেডিকেল জার্নালে (Cancer Research, 2010, 70,3618-3627)। উদ্ভাবনের খবর উঠে আসে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। নানান সম্মানের পাশাপাশি, এই সফলতার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে তিনি ওমিক্স (Omics International) গ্রুপের রিকগনিশন সনদও লাভ করেন। খুব শিগগিরই এই প্রযুক্তিটি মানবদেহে প্রয়োগের আশা করছেন তিনি। যেটি তার দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা। এই যৌগ দিয়ে ত্বক (skin), মূত্রথলি (bladder), অন্ননালি (esophageal) ও কোলন (colon) ক্যানসার খুব প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণ সম্ভব বলে তিনি মনে করেন।

মো. জসিম উদ্দিনের জন্ম নোয়াখালীর বাটইয়া গ্রামে। তিনি হাজি মো. হানিফ উদ্দীন ও বেগম সাফিয়া খাতুনের প্রথম সন্তান। তার শৈশব ও বেড়ে ওঠা ঢাকার জিগাতলায়। ঢাকার রাইফেলস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে তিনি ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন আহমেদের কাছে তাঁর গবেষণার হাতেখড়ি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে জসিম উদ্দিন কর্মজীবন শুরু করেন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানির অ্যান্টিবায়োটিক প্ল্যান্টে। পরে ১৯৯৭ সালে জাপান সরকারের মনবুসো (Monbusho) বৃত্তি নিয়ে চলে যান জাপানের শিনসু বিশ্ববিদ্যালয়ে (Shinshu University)। সেখানে ডক্টরাল গবেষণা করেছেন অধ্যাপক আইওয়াও ইয়ামমোটোর (Professor Iwao Yamomoto) সঙ্গে। তারপর আলবার্টা হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের বৃত্তি নিয়ে কানাডার আলবার্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে (University of Alberta) পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করেন। অবশেষে ফ্যাকাল্টি হিসেবে গবেষণা শুরু করেন ভ্যান্ডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন বিভাগে। বর্তমানে সেখানেই তিনি সহযোগী অধ্যাপক (গবেষণা) হিসেবে কর্মরত আছেন।
বাংলাদেশে গবেষণার অবস্থা তাঁকে ব্যথিত করে। বলেন, বাংলাদেশে অফুরন্ত মেধা ও সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও বিজ্ঞানের মৌলিক ও অপরিহার্য বিষয়ে কোনো উন্নতমানের গবেষণা এখনো চোখে পড়ছে না। পিএইচডি ডিগ্রি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ প্রসঙ্গেও হতাশা প্রকাশ করলেন। বললেন, স্বাধীনতা-উত্তর সময়ে দেশে উচ্চ শিক্ষিতের হার অনেক কম ছিল। তখন শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি ডিগ্রিধারী প্রার্থী পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন পরিস্থিতি অনেক বদলেছে। এখনো সেই নিয়ম ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তা নেই বলেই তিনি মনে করেন।
ফ্লোরকক্সিব-এশিক্ষার্থী ও গবেষকেরা যেন দেশেই করতে পারে উন্নতমানের গবেষণা সে জন্য সম্মিলিত প্রচেষ্টার কথা বললেন। প্রবাসে থেকেও বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে গবেষণা নিয়ে সহযোগিতা করতে তিনি আগ্রহী। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণায় বিনিয়োগের জন্য সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এগিয়ে আসা উচিত বলে তিনি মনে করেন। স্বপ্ন দেখেন, একদিন বাংলাদেশ থেকেই বেরিয়ে আসবে রসায়ন ও চিকিৎসা শাস্ত্রসহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে নোবেল বিজয়ী বিজ্ঞানী।
প্রতিনিয়তই বাংলাদেশের কথা মনে পড়ে তাঁর। দেশে যোগাযোগ হয় নিয়মিত। সুযোগ পেলেই দেশে যান। এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে সংসার। গবেষণা, শিক্ষকতা আর জীবন-সংসারের রসায়ন নিয়ে কেটে গেছে বহু বছর। মানব কল্যাণে তাঁর গবেষণা অবদান রাখবে, সর্বশক্তিমানের কাছে এটুকুই চাওয়া। তাঁর গবেষণা নিয়ে বিস্তারিত জানতে তাঁর ওয়েবসাইট দেখতে পারেন: <https://goo.gl/g68Vja>

*ড. রউফুল আলম, গবেষক, ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া, ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাষ্ট্র। ই-মেইল: redoxrouf@yahoo. com
















----------------------------

Share:

Sunday, October 16, 2016

লক্ষ্মীপুরের ডাঃ ইকবাল মাহমুদ ঢাকা থেকে অপহৃত


লক্ষীপুরের ডাঃ ইকবাল মাহমুদ ঢাকা থেকে অপহৃত হওয়ার খবর জানিয়েছে তার পরিবার। শুক্রবার লক্ষ্মীপুর থেকে রয়েল বাস সার্ভিসে করে ঢাকা যায় ডাঃ ইকবাল মাহমুদ। সে ঢাকার বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনেসথেসিয়ার উপর টেনিং করছিল। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনেসথেসিয়ার উপর টেনিং উপলক্ষ্যে লক্ষ্মীপুরের বাসা থেকে রয়েল বাস সার্ভিসে করে ঢাকা যায়।

ঢাকায় গিয়ে সাইন্স ল্যাবরেটরী এলাকায় বাস থেকে নামে। এ সময় ঐ স্থানে থাকা সাদা একটি মাইক্রোবাসে তাকে অজ্ঞাত লোকজন তুলে নিয়ে যায়। ডাঃ ইকবাল মাহমুদ লক্ষ্মীপুর হাসপাতাল রোডস্থ ১৯৯ বকুল কটেজে তার নিজস্ব বাসা ও মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম নুরুল আলমের ছেলে।

তার পিতা এ কে এম নুরুল আলম জানান, ডাঃ ইকবাল লক্ষ্মীপুরের বাসা থেকে শুক্রবার রাত ১০টার সময় রওনা করে শনিবার ভোর রাত সাড়ে তিনটায় সাইন্স ল্যাবরেটরী এলাকায় পৌঁছে গন্তব্যে যাওয়ার সময় কে বা কাহারা তাকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি ঢাকায় পৌঁছে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে এ পর্যন্ত কোন সন্ধান পায়নি।

সে ছাত্র জীবন থেকে কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত ছিলনা। তবে তাবলিগ জামাতে সাথে জড়িত। সে ২৮তম বিসিএস এ উত্তীর্ণ হয়ে মেডিকেল অফিসার হিসেবে স্বাস্থ্য বিভাগের মহাখালীতে কর্মরত ছিল। সে লক্ষ্মীপুরে ভালো চিকিৎসক হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। তার নিখোঁজের খবরে লক্ষ্মীপুরে ডাক্তারসহ সকল পেশার মানুষ উদ্বেগ, উৎকন্ঠার মধ্যে আছে।
Share:

Sunday, October 9, 2016

‘বৃদ্ধ বাবা-মা থেকে আলাদা হতে চাইলে স্ত্রীকে তালাক দিতে পারবে স্বামী’


বাবা-মায়ের থেকে ছেলেকে আলাদা করতে চাইলে স্ত্রী’কে ডিভোর্স দিতে পারবেন হাজব্যান্ড। ভারতের সুপ্রিম কোর্টের হিন্দু বিবাহ আইনে এই বিধান জারি করা হয়।
বৃহস্পতিবার একটি ঐতিহাসিক রায়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি জাস্টিস অনিল দাভে এবং জাস্টিস এল নাগেশ্বর বলেন, বৃদ্ধ এবং ছেলের ওপর নির্ভরশীল বাবা-মায়ের থেকে স্বামীকে নিয়ে আলাদাভাবে বসবাস করতে জোর করলে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন স্বামী।
১৪ পাতার রায়ে বিচারপতিদ্বয় বলেন, ‘পশ্চিমা সভ্যতার সঙ্গে ভারতীয় সংস্কৃতি এবং রাজনীতির বিস্তর ফারাক রয়েছে। সেখানকার নিয়ম এখানে চলতে পারে না। বৃদ্ধ বাবা-মাকে দেখা ছেলের কর্তব্য বলেই ধরা হয়। বিয়ের পর স্বামীর পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে ওঠেন স্ত্রী। যদি বিশেষ ক্ষেত্র না হয় তবে স্বামীকে অভিভাবকদের থেকে পৃথক করার জন্য মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন করলে বিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন স্বামী।’
বায়ে আরো বলা হয়, ‘অতীতে দেখা গিয়েছে স্বামীকে চাপ দিতে স্ত্রী আত্মহত্যার হুমকি বা আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। যদি কোনো ক্ষেত্রে তিনি মারা যান তবে আইনি সমস্যায় জর্জরিত হতে হয় সেই ব্যক্তিকে। তার ক্যারিয়ার, পরিবার, সামাজিক সম্মান সব কিছু ছারখার হয়ে যায়। এ সব কিছুর কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত চাপের কাছে নতি করে নেন অনেকে। আর যাতে এই রকম ঘটনা না ঘটে তার জন্যই এই রায়ের বিধান করা হয়েছে।’ সূত্র: এই সময়/ইন্ডিয়া টাইমস
Share:

Friday, October 7, 2016

এন্ড্রয়েড মোবাইলের কিছু গোপন কোডসমূহ। জেনে রাখুন কাজে লাগবেই

অ্যান্ড্রয়েড ফোনের যুগে এখন কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। স্মার্টফোনের দৌরাত্ম্যে গোটা দুনিয়ার তথ্য, ছবি, যোগাযোগ করার হরেক পথ খুলে গিয়েছে। তবে প্রিয় স্মার্টফোনের বিষয়ে আমরা ওপর ওপর কিছু তথ্য জেনেই খুশি থাকি। কিন্তু এমন কিছু গোপন কোড আছে, যার দৌলতে অ্যান্ড্রয়েডের না-জানা তথ্য আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসবে।
এখন অনেকেই ভাবছেন, এই গোপন কোড জেনে আপনার কী হবে? ফোনের সমস্ত কিছু অজানা কোড দিয়ে ফোনের সেকশনগুলি তৈরি থাকে। এমনও তো হতে পারে, আপনি বেখেয়ালে কখন সবচেয়ে দরকারী ছবি ডিলিট করে দিয়েছেন! তখন হা-হুতাশ ছাড়া আপনার কিছু করার থাকবে না। যদি আপনি গোপন কোড জানেন, তাহলে তো কেল্লা ফতে! আবার যাঁরা স্মার্টফোনের ব্যাপারে কৌতুহলী, তাঁদের কাছে এগুলি সত্যিই সোনার চাঁদ।

ফোনের বিস্তারিত তথ্য জানতে কিছু কোড ব্যবহার করা হয়। সেগুলি জানুন এখানেl

*#06# – IMEI নম্বর
*2767*3855#- ফ্যাক্টরি রিসেট কোড (ফোনের সব তথ্য মুছে যাবে) *#*#4636#*#* – ফোন এবং ব্যাটারি সংক্রান্ত তথ্য *#*#273282*255*663282*#*#* – সব মিডিয়া ফাইল ব্যাক আপ হবে *#*#197328640#*#* – সার্ভিস টেস্ট মোড
*#*#1111#*#* – FTA সফটওয়্যার ভার্সন
*#*#1234#*#* – PDA এবং firmware ভার্সন
*#*#232339#*#* – WirelessLAN টেস্ট কোড
*#*#0842#*#* – ব্যাক লাইট ও ভাইব্রেশন টেস্ট কোড
*#12580*369 # – সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার ইনফরমেশন *#*#2664#*#* – টাচস্ক্রিন টেস্ট কোড
*#9900# – সিস্টেম ডাম্প মোড
*#9090# – ডায়াগনস্টিক কনফিগারেশন
*#*#34971539#*#* – ক্যামেরা ইনফরমেশন
*#872564# – ইউএসবি লগইন কন্ট্রোল
*#301279# – HSDPA/HSUPA কন্ট্রোল মেনু
*#7465625#- ফোন লক স্ট্যাটাস
*#*#7780#*#* – ফ্যাক্টরি রিস্টোর সেটিং, গুগলঅ্যাকাউন্টসহ সব সিস্টেম ডাটা মুছে যাবে
*2767*3855#- ফ্যাক্টরি ফরম্যাট সেটিংসহ সব ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল ডাটা মুছে যাবে এবং ফার্মওয়্যার রি-ইন্সটল হবে
*#*#4636#*#* – ফোন এবং ব্যাটারি ইনফরমেশন *#*#273283*255*663282*#*#* – ফাইল কপি স্ক্রিন, সব ইমেজ, সাউন্ড, ভিডিও, ভয়েস মেমো ব্যাক আপ করা যাবে
*#*#197328640#*#* – সার্ভিস মোড কোড, বিভিন্ন টেস্ট ও সেটিং বদলানোর জন্য
*#*#7594#*#* – এই কোড এন্ড কল/ পাওয়ার বাটনকে সরাসরি পাওয়ার অফ বাটনে পরিণত করবে
*#*#8255#*#* – G Talk সার্ভিস মনিটর কোড
*#*#34971539#*#* – ক্যামেরা ইনফরমেশন, ক্যামেরা ফার্মওয়্যার, আপডেট অপশনটি ব্যবহার করবেন না- এতে আপনার ক্যামেরা ফাংশন বন্ধ হয়ে যাবে।

জিপিএস, ব্লু-টুথ টেস্ট কোড:

W-LAN, GPS and BluetoothTest Codes: *#*#232339#*#* OR *#*#526#*#* OR *#*#528#*#* – W-LAN টেস্ট কোড, টেস্ট শুরু করার জন্য মেনু বাটন ব্যবহার করুন *#*#232338#*#* – ওয়াই-ফাই ম্যাক অ্যাড্রেস *#*#1472365#*#*- জিপিএস টেস্ট *#*#1575#*#* – আরেকটি জিপিএস টেস্ট কোড *#*#232331#*#* – Bluetooth টেস্ট কোড *#*#232337#*# – Bluetooth ডিভাইসই নফরমেশন *#*#0588#*#* – প্রক্সিমিটি সেন্সর টেস্ট *#*#0*#*#* – এলসিডি টেস্ট *#*#2664#*#* – টাচস্ক্রিন টেস্ট *#*#2663#*#* – টাচস্ক্রিন ভার্সন *#*#0283#*#* – প্যাকেট লুপ ব্যাক *#*#0673#*#* OR *#*#0289#*#* – মেলোডি টেস্ট *#*#3264#*#* – র্যাম ভার্সন টেস্ট।

- সৌজন্য- নাঈম ইসলাম
Share:

Tuesday, October 4, 2016

৫ দিনেও খোঁজ মেলে নি ডাঃরিয়াদের


                 
ডা. রিয়াদ-নাসের-চৌধুরী
অপহরণের চারদিন পরও খোঁজ মেলেনি পল্লবীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.রিয়াদ নাসের চৌধুরীর।অভিযোগের তীর রয়েছে কোস্ট গার্ডের লে.কমান্ডার ফরহাদ সরকারের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে তারা উদ্ধারে কাজ করে যাচ্ছে। তবে ঘটনার চারদিন পার হয়ে গেলেও কোনও খোঁজ না পাওয়ায় শঙ্কা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অপহৃতের ভাই মেধাদ নাসের চৌধুরী।
পুলিশ ও অপহৃতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২৯ সেপ্টেম্বরের পল্লবীর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে মেডিক্যাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করছিলেন ডা.রিয়াদ নাসের চৌধুরী। বিকালে তার সহকর্মী ডা. মো. সালেককে নিয়ে পূরবী সিনেমা হলের পাশে একটি চায়ের দোকানে চা পান করতে যায় সে। এ সময় পাশেই একটি গাড়িতে থাকা তিনজন এসে রিয়াদের নাম জিজ্ঞেস করে তাদের সঙ্গে যেতে বলে। প্রথমে যেতে না চাইলে প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে রিয়াদকে জোর করে গাড়িতে তুলে মিরপুর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের দিকে চলে যায়। মাইক্রোবাসটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর (ঢাকা মেট্রো চ-৫৩-১৩৮২)।
অপহৃতের ভাই মেধাদ নাসের চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, খবর পেয়ে তারা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন। রিয়াদের ব্যবহৃত মোবাইলটি তখন থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নাম্বর ৭১।

মেধাদ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘ডা. লুনা আনিকা নামে আমার ভাইয়ের এক বান্ধবী ছিল। নর্থ সাউথে মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথে পড়ার সময় তাদের বন্ধুত্ব হয়। বিগত কিছুদিন ধরে স্বামী কোস্ট গার্ডের লে. কমান্ডার ফরহাদ সরকারের সঙ্গে লুনার কোনও কারণে ঝামেলা হয়। আর   এর জন্য ফরহাদ আমার ভাইকে দোষারোপ করে। বিভিন্নভাবে আমার ভাইকে ভয় দেখানো হয়।’
এর আগে গত ১৬ আগস্টে একইভাবে তার ভাইকে উঠিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে জানান মেধাদ। তিনি বলেন, ‘ওইদিন সেকশন সাড়ে ১১ কনভেনশন হলের সামনে মেইন রোডে লুনার সঙ্গে আমার ভাইয়ের দেখা হয়। এ সময় কয়েকজন এসে আমার ভাইকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।’
ওইদিন কনভেনশন সেন্টারের সামনে থেকে তুলে নেওয়ার সময় অজ্ঞাতরা নিজেদের ডিটেকটিভ টিমের সদস্য বলে পরিচয় দেয়।পরবর্তীতে পল্লবী থানায় গেলে এদের কোনও পরিচয় পাওয়া যায়নি। উল্টো তাদের ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন মেধাদ নাসের।
তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কোনও শত্রু নেই। তার শুধু দ্বন্দ্ব ছিল   ফরহাদের সঙ্গে। তিনিই আমার ভাইকে তুলে নিয়েছেন। এর আগে কমান্ডার ফরহাদ মোবাইলে আমার ভাইকে এনকাউন্টার করার হুমকি দেন। এখন তাকে তুলে নিয়ে গেছে।’
টাকার জন্য তাকে তুলে নেওয়া হয়নি বলে জানান মেধাদ নাসের। তার ভাষ্যমতে, ‘আমার ভাইয়ের মতো গরীব মানুষকে টাকা জন্য তুলে নেওয়ার মতো বোকামি কেউ করবে আমার মনে হয় না। এছাড়া টাকার জন্য নিয়ে গেলে আমাদের কাছে ফোন আসতো। কিন্তু আমাদের কাছে টাকা চেয়ে এখনও কোনও ফোন আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কোনও দোষ নেই। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। এটা ওদের ব্যাপার। আমার ভাইয়ের সঙ্গে এখন ফরহাদ ও তার স্ত্রী লুনার কোনও সম্পর্ক নেই। পরবর্তীতে আমার ভাই আর কোনও যোগাযোগ লুনার সঙ্গে করেনি। আমি জানি না আমার ভাই কেমন আছে, কোথায় আছে? আমি ভাইকে ফেরত চাই।’
অপহৃতের ভাইয়ের করা অভিযোগের ব্যাপারে লে. কমান্ডার ফরহাদ সরকারের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পরই তিনি ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার ফোন করে ও এসএমএস করেও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দাদন ফকির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের এখানে অপহৃতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। অপহরণের সময় গাড়িতে যে নাম্বারটা ব্যবহার করা হয়েছিল, সেই নাম্বারের গাড়িটা পাওয়া গেছে। তবে গাড়ির শুধু নাম্বারটা ব্যবহার করে অপরাধীরা। এই নাম্বারের গাড়িটা মানিকগঞ্জের ঘেয়র থানা হেফাজতে আগে থেকেই ছিল। তবে অপহরণকালে ব্যবহৃত গাড়িটি আটক করা যায়নি। সিটিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। আমরা যাচাই করে দেখছি। এছাড়া মামলার আর তেমন কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই

Source - http://banglatribune.com

http://www.dhakatribune.com/bangladesh/crime/2016/10/04/no-trace-doctor-5-days-since-abduction/
Share:

Monday, October 3, 2016

জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ এম খান স্যার চিকিৎসা জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র

সদ্য কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে এসে সাতক্ষীরায় প্র্যক্টিস করেন ডাঃমোঃ রফি খান। ভিজিট ৪ টাকা।
সময়টা গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক। অল্প সময়ে বেশ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই তরুন চিকিতসককে স্থানীয় লোকজন ধরে পৌরসভা নির্বাচনে দাড়া করিয়ে দিলেন। যথারীতি নির্বাচনে তিনি হেরেও গেলেন।
একটু অভিমান করে ভদ্রলোক পাড়ি দিলেন উচ্চশিক্ষার জন্যে বিলেতে। এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমআরসিপি ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরলেন ১৯৬৩ সালে। বিলেতিরা তাকে ছাড়তে রাজি না । তিনি তাদের বললেনঃ "এ দেশে আমার মতো আরও অনেক ডাঃ মোঃ রফি খান আছেন। আমার দেশে শিশু চিকিত্সকের বড় সংকট। আমাকে ফিরতেই হবে। "
ফিরলেন তিনি। সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এক বছর পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজে বদলি হয়ে এলেন। স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ থেকে চারটি বিছানা (বেড) ধার করে কাজ শুরু করলেন " শিশুস্বাস্থ্য " বিভাগের। তখন রাজশাহী ছোট্ট শহর—কাদার শহর, মশা-মাছির শহর। স্ত্রীর শরীর খারাপ হয়ে গেল। কিন্তু তিনি নীতিবান মানুষ, বদলির তদবির করতে বিবেকে বাধে। পাঁচ বছর রাজশাহীতে ‘অজ্ঞাতবাস’ করে ঢাকা মেডিকেলে ফিরলেন ১৯৬৯ সালে।
১৯৭০ সালে পেলেন ঈপ্সিত সম্মান, অধ্যাপক পদ। তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানে তিনিই পেডিয়াট্রিকসের প্রথম অধ্যাপক। ১৯৬৫ সালে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বারে টিকা দিতে শুরু করেছিলেন। এখন বাংলাদেশের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি সারা বিশ্বের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। বাংলাদেশ পোলিওমুক্ত। ১৯৭১ সালে বুদ্ধিজীবী নিধন তালিকায় তাঁর নামও ছিল। ভাগ্য ভালো, রাজাকারেরা তাঁর নাগাল পায়নি।
স্বাধীনতার পর পরিত্যক্ত শাহবাগ হোটেলে আইপিজিএমআর এ বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষায় পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কার্যক্রম শুরু হল। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত চিকিত্সক প্রফেসর নূরুল ইসলাম হলেন এর পরিচালক।
তাঁর অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হলেন প্রফেসর ডাঃমোঃ রফি খান। সেই যে পিজির হাল ধরলেন, ছাড়লেন টানা ১৮ বছর পর, ১৯৮৮ সালে। এর মধ্যে এডিনবরা থেকে এফআরসিপি ডিগ্রিও অর্জন করলেন।
একবার মজা করে বললেনঃ "একটা সময় ছিল আমরা শিশুদের কোর্সে ছাত্র ভর্তি করব বলে চারজন পরীক্ষক বসে আছি, প্রার্থী এসেছে একজন। আর এখন শত শত ছাত্র, ভর্তির চেষ্টা করে। কেউ টেকে, কেউ অকৃতকার্য হয়।"
অবসর নেওয়ার পর অধিকাংশ মানুষ বুড়িয়ে যায়। শরীর চলতে চায় না, মন থাকে অবসাদগ্রস্ত। অথচ ডাঃ মোঃ রফি খানের বেলায় হলো উল্টো। তাঁর দিন শুরু হয় ভোর পাঁচটায়। ভোরের নামাজ শেষে বাড়ির ছাদে কিছুক্ষণ পায়চারি করেন। সেখানে একটি পাত্রে তিনি পাখির জন্য পানি ঢেলে রাখেন। কাক, শালিক, চড়ুই এসে বসে। ছাদে কিছু গাছগাছালি আছে, দুজনে এগুলোর পরিচর্যা করেন। নিচে নেমে কিছুক্ষণ কোরআন শরিফ ও হাদিস পড়েন। এরপর নাশতা শেষে টেলিভিশনে খবর দেখতে দেখতে দৈনিক পত্রিকা পড়ে ফেলেন।
নয়টার মধ্যেই ঢুকে পড়েন নৈমিত্তিক কর্মযজ্ঞে—নিবেদিতা নার্সিং হোম, সেন্ট্রাল হাসপাতাল, মহিলা মেডিকেল কলেজ ও শিশু স্বাস্থ্য ফাউন্ডেশনে যান রোগী দেখতে।
এসব প্রতিষ্ঠান তাঁর হাতেগড়া। এর বাইরেও রোগী দেখেন আইসিডিডিআরবির মতো আন্তর্জাতিক চিকিত্সা গবেষণাকেন্দ্রে।
সমাজসেবা তার ব্রত। পেনশানের টাকা দিয়ে মা ও শিশুদের জন্য গড়ে তোলেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ সরকার তাঁকে জাতীয় অধ্যাপক সম্মাননায় ভূষিত করেছে, পেয়েছেন একুশে পদক।
ডাঃ মোঃ রফি খান নামটা অপরিচিত লাগছে?
সংক্ষেপে ডাঃ এম আর খান। এই নামেই সবাই তাকে চেনেন।ডাঃ মোঃ রফি খান থেকে জাতীয় অধ্যাপক ডাঃ এম আর খান হয়ে ওঠা এই শিশু বন্ধুর আজ ৮৮ তম জন্মদিন। স্যালুট, এই মহান মানুষটিকে ৷

সৌজন্যে ০--- ডা. সরওয়ার আলম শাংকু ।




            জাতীয় অধ্যাপক এম.আর.খান স্যারের 
     জীবন বৃত্তান্ত সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা হলো ...ডাঃ স্বাধীন

এম আর খান (জন্ম: ১৯২৮ সালের ১ আগস্ট , মৃত্যু -৫ নভেম্বর রোজ শনিবার ২০১৬ ) বাংলাদেশের একজন প্রথিতযশা অধ্যাপক, চিকিৎসক, শিশুবিশেষজ্ঞ। এম আর খান নামে তিনি সর্বাধিক পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম মো. রফি খান। বাবা মা, প্রতিবেশী সকলের কাছে খোকা নামে বেশী পরিচিত ছিলেন তিনি। তিনি সরকার কর্তৃক দেশের জাতীয় অধ্যাপক নির্বাচিত হয়েছেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

এম আর খানের জন্ম ১৯২৮ সালের ১ আগস্টে সাতক্ষীরায়। বাবা আলহাজ্ব আব্দুল বারী খান, মা জায়েরা খানম। তাঁদের চার ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন মেজ। মায়ের হাতে পড়াশুনার হাতেখড়ি হয়। এরপর রসুলপুর প্রাইমারী স্কুলে ভর্তি হন। সাতক্ষীরা সদরের প্রাণনাথ উচ্চ ইংরেজি বিদ্যালয় (পিএন স্কুল)-এ ভর্তি হন তিনি। পড়াশুনায় মেধাবী ছিলেন খুব। ছেলেবেলায় খুব ভাল ফুটবল খেলতেন। রসুলপুর স্কুল টিম লিডার হিসেবে তিনি ১৩টি ট্রফি লাভ করেন। ১৯৪৩ সালে এ স্কুল থেকেই কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে ম্যাট্রিক পাশ করেন। মেট্রিক পাস করার পর তিনি কলকাতায়যান। ভর্তি হন কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে। ১৯৪৫ সালে কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে প্রথম বিভাগে আইএসসি পাস করেন। এরপর ১৯৪৬ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫২ সালে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর সাতক্ষীরায় ফিরে আসেন তিনি। এরপর ১৯৫৬ সালে উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য তিনি লন্ডনে পাড়ি জমান এবং বৃটেনের এডিনবার্গ স্কুল অব মেডিসিন-এ ভর্তি হন। সেখান থেকে একই সালে ডিপ্লোমা ইন ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন (ডিটিএমএন্ডএইচ) ডিগ্রী লাভ করেন। স্কুল অব মেডিসিন লন্ডন থেকে তিনি ডিপ্লোমা ইন চাইল্ড হেলথ (ডিসিএইচ) ডিগ্রিও লাভ করেন। ১৯৬২ সালে 'এডিনবার্গের রয়েল কলেজ অব ফিজিশিয়ান' থেকে তিনি এমআরসিপি ডিগ্রি লাভ করেন।১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ থেকে ফেলো অব কলেজ অব ফিজিশিয়ান অ্যান্ড সার্জন (এফসিপিএস) এবং ১৯৭৮ সালে এডিনবার্গ থেকে ফেলো অব রয়েল কলেজ অ্যান্ড ফিজিশিয়ানস (এফআরসিপি) ডিগ্রি লাভ করেন।

পরিবার

রসুলপুর গ্রামের মেয়ে এম আর খানের দূর সম্পর্কের আত্মীয় আনোয়ারা বেগম আনুর সাথে ১৯৫৪ সালের ১ জানুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। আনোয়ারা বেগম ও ডা. এম আর খান দম্পতির একমাত্র মেয়ের নাম দৌলতুন্নেসা (ম্যান্ডি)।

কর্মজীবন

১৯৫২ সালে কলিকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করার পর সাতক্ষীরায় ফিরে আসেন এম আর খান। উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য ১৯৫৬ সালে তিনি সস্ত্রীক বিদেশে পাড়ি জমান। বিদেশে পড়াশুনা শেষ করে তিনি ১৯৫৭ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টার কেন্ট এবং এডিনবার্গ গ্রুপ হাসপাতালে যথাক্রমে সহকারী রেজিস্টার ও রেজিস্টার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি দেশে ফিরে আসেন। ১৯৬৩ সালে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসোসিয়েট প্রফেসর অব মেডিসিন পদে যোগ দেন। ১৯৬৪ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক (শিশুস্বাস্থ্য) পদে যোগদান করেন। ১৯৬৯ সালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু বিভাগে যোগ দেন এবং এক বছরের মধ্যেই অর্থাৎ ১৯৭০ সালে তিনি অধ্যাপক হিসাবে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে তিনি ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন এন্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর)-এর অধ্যাপক ও১৯৭৩ সালে এই ইনস্টিটিউটের যুগ্ম-পরিচালকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালের নভেম্বরে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালে অধ্যাপক ও পরিচালকের পদে যোগদান করেন। একই বছরে পুনরায় তিনি আইপিজিএমআর-এর শিশু বিভাগের অধ্যাপক নিযুক্ত হন এবং দক্ষতা ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে অধ্যাপক ডা. এম আর খান তাঁর সুদীর্ঘ চাকুরী জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

পুরস্কার প্রদান

পেনশনের টাকা দিয়ে মা ও শিশুদের জন্য গড়ে তোলেন ডা. এম আর খান ও আনোয়ারা ট্রাস্ট। এ ট্রাস্ট থেকে শিশু স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় অনুদান, হাসপাতাল ও স্কুল প্রতিষ্ঠা, মেধাবী ও গরিব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান এবং চিকিৎসাক্ষেত্রে ভালো অবদানের জন্য দেয়া হয় ডা. এম আর খান ও আনোয়ারা ট্রাস্ট স্বর্ণপদক। । ২০১১ সালে এ স্বর্ণপদক পেয়েছেন কমিউনিটি মাদার এ্যান্ড চাইল্ড কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম এখলাসুর রহমান।

পুরস্কার

শিক্ষা, চিকিৎসা, শিশুস্বাস্থ্য সুরক্ষা, দুর্গত অসহায় মানুষের সেবাসহ সমাজকল্যাণমূলক কাজে অসামান্য অবদান রাখায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ডা. এম আর খানকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমী স্বর্ণপদক দেয়।




















-----------------------------------------------


Share:

Definition List

Unordered List

Support

সকল