Download

Download most essential Medical books

Doctors

Doctor Details

News

details

Doctors Chamber>

Doctors Chamber address

Everything

Everything

Sunday, May 28, 2017

Dr.Abdun Noor Tushar এর ছাত্র জীবনে ঘটে যাওয়া এক বাস্তব কাহিনী !!





মেডিকেল কলেজে পড়বার সময় আমার মা আমাকে সপ্তাহে ১০০ টাকা দিতেন যাতায়াত ভাতা আর ৫০০ টাকা দিতেন মাসে অন্যান্য খরচের জন্য। সব মিলিয়ে ৯০০ টাকা। আমার সারা মাসে যাতায়াতের টাকা লাগত ৩০০ ।

সরাসরি মিনিবাসে চানখারপুল বা বখশিবাজার যেতে আসতে মীরপুর থেকে দিনে ১০ টাকা। মুড়ির টিন (বড় বাস) চড়লে ৬ টাকা , ছাত্র আই ডি কার্ড দেখালে হাফ ভাড়া, ৩ টাকা। তাই প্রতিবার মাসএর শেষ সপ্তাহের শুরুতে ১০০ টাকা পেলেই আমি চলে যেতাম নিউমার্কেট। হেঁটে যেতাম যাতে পয়সা বাঁচে,আর জমানো পুরো টাকা দিয়ে বই কিনতাম।


একবার সেরকম বই কিনে পকেটে আছে ১২ টাকা। রিকশা দিয়ে বাড়ী ফেরার সিদ্ধান্ত নিলাম। তখন ২য় বর্ষে পড়ি। রিকশাওয়ালা অতিরিক্ত ভাড়া চাইতে থাকায় আমি হেঁটে কলাবাগান চলে আসলাম। কলাবাগান থেকে আমার বাসার রিকশা ভাড়া ছিল আট টাকা। কেন যেন কোন রিকশা সেদিন আর যেতে রাজী হয় না।

আমি রাগ করে হেঁটে চলে এলাম আসাদগেট। এবার একজন রাজী হলো যেতে কিন্তু ভাড়া তখনো বেশী। পকেটের ১২ টাকাই সে চায়, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম হেঁটেই বাড়ী ফিরবো।

ঠিক কলেজ গেট আর শ্যামলীর সংযোগস্থলে আসতেই দেখি রাস্তায় দাঁড়িয়ে এক দিনমজুর কাঁদছেন আর বলছেন,

“আল্লাহ তোমার দুনিয়ায় কি কেউ নাই আমাকে একবেলা ভাত খাওয়ায়।”

আমি তার সাথে কথা বলে মনে হলো তিনি সত্যি কথা বলছেন। সকালে এসেছিলেন তুরাগ নদীর ওপার থেকে বসিলা হয়ে। দেরী হয়ে যাওয়ায় কাজ পান নি। কাঁদতে কাঁদতে বললেন

“আজকে না খেলে তো কালকেও কাজ করতে পারবো না।”

উল্টোদিকের হোটেলে তাকে নিয়ে যেতে তিনি বললেন , কই মাছ দিয়ে ভাত খাবেন। হোটেলওয়ালা বললো, ভাত আর কই মাছ ১২ টাকা দাম। পকেটের সব টাকা দিয়ে তাকে ভাত আর কই মাছ খাওয়ালাম। তিনি হাততুলে আমাকে দোয়া করলেন, আমার স্পষ্ট মনে আছে।

“আল্লাহ,আমার ভাইটার জীবনে যেন কোনদিন ভাতের অভাব না হয়।”

অামি বাকি রাস্তা হেঁটে মীরপুরে আমার বাড়ীতে ফিরলাম।

আমার পকেটে বহুদিন টাকা ফুরিয়ে গেছে। (যখন এভাবে বই বা খেলনা কিনেছি)  এমনকি বিদেশেও একবার এমন হয়েছিল। পকেটে টাকা নাই। থাকতে হবে আরো দুই দিন। খিদে লাগার সাথে সাথে কেউ না কেউ , আমাকে খাবার সেধেছে। আমার জীবনে এখনো ভাতের অভাব হয় নাই।

সেদিন কেন এতটা পথ হেঁটেছিলাম?

এখন বুঝি , আমি স্বেচছায় হাঁটি নাই। সেই দিনমজুরের দোয়া কবুল হয়েছিল। আমি হেঁটেছিলাম , কারন আল্লাহ সেদিন আমার মাধ্যমে তাকে ভাত পাঠিয়েছিলেন।

তাকে আরেকবার খুঁজে পেলে আমার জন্য দোয়া করতে বলতাম।

বলতাম , আল্লাহকে বলেন ভাই

“আমার ভাইটা যেন প্রিয় মানুষের ভালবাসার মধ্যে মরতে পারে। ”




Courtesy  : Dr.Abdun Noor Tushar 

Share:

ডাক্তারদের বাস্তবতা নিয়ে, Dr.Abdun Noor Tushar এর অসাধারণ লেখা ......


ডাক্তাররা সমাজের চোখে ভিলেনে পরিনত হয়ে চলেছেন।
তারা মারামারি করেন।
তারা চামার।
তারা হৃদয়হীন।
তারা রোগীদের অবহেলায় আর ভুল চিকিৎসায় মৃত্যুমুখে ঠেলে দেন।
তারা অমানুষ।

এত অভিযোগের সবগুলির সাথে একটি প্রশ্নের উত্তর নেই।
ডাক্তার ধরে ধরে মারলে কি সমস্যার সমাধান হবে?

এতগুলি অভিযোগের ও সমস্যার পেছনের কারনের কোন মীমাংসা নেই। কেবল শাস্তি নিয়ে সকলের আগ্রহ।
সমাজ থেকে ডাক্তার তাড়িয়ে দিলে কি সমস্যা মিটবে?
ডাক্তার পিটিয়ে স্ট্যাটাস দিলে কি সমস্যা মিটবে?

বছরের পর বছর ডাক্তারদের সমস্যাগুলি সমাধান না করে, ডাক্তারদের সংগঠনগুলিকে দলীয় লেজুড় বানিয়ে ফেলেছেন আমাদের রাষ্ট্র ও চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ।। এখন তার ফলাফল ভোগ করতে হচ্ছে সকলকে। নিরীহ চিকিৎসকরা মার খাচ্ছেন আর নিরীহ রোগীরা ভুগছেন।

১. যে কোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের জন্য চাই সঠিক ব্যবস্থাপনা।বাংলাদেশে সরকারী ও বেসরকারী সকল চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান আন্ডার স্টাফড বা প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী ও সেবা নিয়ে সক্ষম নয়।

ঢাকা মেডিকেলের রেডিওলজী বিভাগ তার সকল রোগীর এক্সরে করতে সক্ষম না। ব্লাড ব্যাংক এর আকার তার বেড সংখ্যার তুলনায় ক্ষুদ্র। কিচেন বলতে কিছু নেই। ভবনটির রক্ষনাবেক্ষন করে সরকারের আরেকটি বিভাগ। নার্স ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীদের উপর চিকিৎসকদের কোন নিয়ন্ত্রন নেই। ঔষধের সরবরাহ ও বেড সংখ্যা রোগীর তুলনায় কম। ওয়েস্ট ডিসপোজাল বা আবর্জনা ব্যবস্থাপনা অবৈজ্ঞানিক।

উর্দিপরা ব্যক্তিরা সব হাসপাতালের ডিরেক্টর। যেন পোষাকেই ভক্তি, পোষাকেই মুক্তি। হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট নামক বস্তটি রাষ্ট্রের ও হাসপাতাল মালিকদের অজানা।

২. ইন্টার্নিরা প্রতি বছর ১৫০ জন আসে আর যায়। । অনারারী মেডিকেল অফিসারেরা নিজেরে পকেটের পয়সা দিয়ে সেখানে চিকিৎসা দেয়।

৩. মেডিকেলের ভালো ছাত্র হওয়া না হওয়ার সাথে তার চাকুরীর বা পোস্টিং এর কোন সম্পর্ক নাই। আমি  প্রফে স্ট্যান্ড করেও পোস্টিং পেয়েছিলাম ইউনিয়নে আর আমার সংগে এক বছর পরে পাশ করা ছাত্র নেতার চাকুরী হয়েছিল বিএসএমএমইউতে।
আমাদের ক্লাসের সেরা ছাত্রীটিও সেই সময় আমারি সাথে ছিল, চাকুরী হয় নি তারো।

মরহুম প্রফেসর কাদরী আমাকে চাকুরী দেন নাই, কারন আমার নামের পাশে তদবির ছিল না।আমি বুঝি নাই, যোগ্যতা হলো তদবির , রেজাল্ট হলো ফালতু জিনিষ।

বিসিএস চাকুরীতে দেখলাম আমার থাকার জায়গা নেই আর তদানীন্তন স্বাস্থ্য সচিব এর মেয়ের জামাই যেহেতু টাংগাইলে তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারের বারান্দায় সরকারী পয়সায় গ্রীল লাগানো হচ্ছে , চুনকাম হচ্ছে। কারন তারা সেখানে উঠবেন।

কমপ্লেক্সের দুটো কোয়ার্টারে ভাড়া থাকেন, সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার ও পল্লী বিদ্যুতের জি এম।

গ্রামে চাকুরী করলে ডাক্তারের ট্রেনিং কাউন্ট হয় না।
ডাক্তার হয়ে পড়ে এক হতাশ, বিরক্ত ও বিষন্ন মানুষে।

৪. এই সব অব্যবস্থাপনা ১৯৯৬ সালের গল্প। ১৮ বছর পরে দেশে এখন ৮৩ টি মেডিকেল কলেজ। এখনো একজন এমবিবিএস এর অবস্থা একই রকম। তার ক্লিনিকে বেতন ঘন্টায় ১০০ টাকার কম।

৫. হাসপাতালে একজন রোগীর সাথে আসে ১০ জন আত্মীয় পরিজন।কারন তাদের দৌড়াদৌড়ি করতে হয় সবকিছুর জন্য। ঔষধ থেকে শুরু করে খাবার। ইনফেকশন কন্ট্রোল করতে হিমসিম খায় চিকিৎসকেরা।রোগীর অপারেশন ঠিকমতো হয়, ইনফেকশনে রোগী মরে যায়।
হাসপাতালে প্রবেশে কোন বিধিনিষেধ মানা হয় না। এমনকি চিকিৎসকের লিফটে চড়ে বসে রোগীর বন্ধুরা। না করলে ডাক্তারকে ধরে মারে।

৬. কোন হাসপাতালে ডাক্তারের কোন প্রশাসনিক ক্ষমতা নেই। একজন নার্স যদি কর্তব্যে অবহেলা করে তবে তার এসিআর নামক বস্তটিতে চিকিৎসকের কোন মন্তব্যের ঘর নাই।
আমার মনে আছে অত্যন্ত রুপবতী এক নার্স আমার ডিউটির সময় লম্বা লম্বা নখ নিয়ে, ডিউটি সিস্টারের টেবিলের উপর পা তুলে নেলপলিশ লাগাচ্ছিলেন। তিনি আবার আমার এক মেডিকেলীয় বড়ভাই এর সাথে ঈষৎ ভালোবাসার অভিনয় করতেন। আমি তাকে ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে নেলপলিশ লাগিয়ে আসতে বলায় তিনি মেট্রনের কাছে এমন ভংগীতে বিচার দিতে গেলেন যে আমি কথাটা বলে তাকে ভিষন অপমান করেছি।

মেট্রনকে বলে আমি তাকে আমার ওয়ার্ড থেকে চিরবিদায় দেবার পরে আমার সেই বড়ভাই আমাকে এসে বলেন, তোমার ভাবীর সাথে এরকম করাটা তোমার ঠিক হয় নাই।পরে অবশ্য ময়লা নখের কারনেই হয়তো তিনি আর আমার ভাবী হতে পারেন নাই।

এই হলো মেডিকেলের হাল হাকিকত।

ব্যবস্থাপনার খোল নলচে বদলে আধুনিক নিয়ম কানুন না আনলে এইসব চলতেই থাকবে।

*এখন সিস্টাররা অভিযোগ করেছেন সিলেটে এক ইন্টার্নি নাকি ছাত্রী সিস্টারকে মেরেছেন।
*সাংবাদিক ও ডাক্তাররা লাঠি হাতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া দিচ্ছেন।
*রোগীর আত্মীয় ডাক্তার মেরে ফেসবুকে স্ট্যটাস দিচ্ছেন।1
*লিফটে ওঠা নিয়ে বচসা ও মারামার করছেন রোগীর বন্ধুরা ও ডাক্তাররা।
*ভাত খেতে গিয়ে মার খেয়ে আইসিইউতে গেছেন ঘটনার সাথে সম্পর্কহীণ ডাক্তার।

***এটা চুড়ান্ত অরাজকতা।

এর কারন হতাশা, ডিস্যাটিসফ্যাকশন এবং অবিচার। মেধাবীদের বিচার যেখানে দলের পাল্লায় তেলের বাটথারা দিয়ে হয়, সেখানে অযোগ্যতা থাকবে। থাকবে হাহাকার।
সেখানে এরকম হতেই থাকবে।

আমার কথা বিশ্বাস না হলে গত ২৪ বছরে পোস্টিং , প্রমোশন, ট্রেনিং, স্কলারশীপ ও বিদেশ যাত্রার তালিকা পরীক্ষা করে দেখেন।

দলীয়কৃত , একচোখা , স্বজনপ্রিয় চিকিৎসকদের নেতৃত্ব কখনোই কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা ও চাকুরীর সন্তষ্টি দিতে পারবেন না।

অসন্তষ্ট মানুষের কাছ থেকে দয়া মায়া প্রেম আশা করা যায় না।
সেটা কোথাও না। কোন পেশাতেই না।

তাই সচিবালয়, পুলিশ, বিডিআর, কাস্টমস, কোথাও কেউ ভালো ব্যবহার করে না।
ফলে ভুল চিকিৎসা , অবহেলা, দুর্ব্যবহার সবই চলতে থাকবে।

আর জীবনের নিরাপত্তা তো বাড়ীতে নেই, রাস্তাতেও নেই।উপজেলা চেয়ারম্যান এর গাড়ীর ছবি দেখুন, সাগর রুনির কথা মনে করুন। নারায়নগঞ্জের ৭ খুন দেখুন।

অন্য সরকারী কর্মকর্তারা তবু নিজের অফিসে নিরাপদ। চিকিৎসকের নিরাপত্তা তার কর্মস্থলেও নেই।

কর্মস্থলে নির্যাতিত হয়ে মরলেন যে চিকিৎসক, তার অপরাধীর শাস্তি হয়েছিল?
স্বামীর হাতে মার খেয়ে মরলেন যে চিকিৎসক?
এই যে সেদিন সড়ক দুর্ঘটনায় মরলেন আরেকজন? তার পরিবারকে কে ক্ষতিপুরন দেবে?
কেবল রানা প্লাজাতে মরলেই ক্ষতিপুরন?
রানা প্লাজার সময়ে মেডিকেলের ভাইবোনরা যা করেছিলেন, তারা গাড়ীচাপা পড়লে সমাজ কি সেই সেবা তাদের বেলায় করে?
আমার সি এ, এলিন ভাই যে দু পা ভেঙে পড়েছিলেন বিছানায়, কর্মস্থলে যেতে গিয়ে, তার চিকিৎসার খরচ কে দিয়েছিল? সরকার?

আসুন প্রার্থনা করি
হে মহান স্রষ্টা! তোমার ”শেফার হাত, নিরাময়ের গুণ” যাদের হাতে তুমি ন্যস্ত করেছো, তোমার দয়া মায়া যাদের মধ্য দিয়ে তুমি প্রকাশিত করো রোগীর কাছে, তাদের তুমি ধৈর্য দাও। তাদের তুমি রক্ষা করো্।

এছাড়া আর কিইবা বলার আছে?



Dr. Abdun Noor Tushar
22.May.2016

Share:

Tuesday, May 23, 2017

প্রফেসর এবিএম আবদুল্লাহ স্যারের ছেলে ডাক্তার Sadi Abdullah এর লেখা:

প্রফেসর এবিএম আবদুল্লাহ স্যারের ছেলে 

ডাক্তার Sadi Abdullah এর লেখা:







ডাঃ এ বি এম আব্দুল্লাহ্

বিভাগীয় প্রধান,মেডিসিন,বি এস এম এম ইউ.

ডিন,মেডিসিন ফ্যাকাল্টি,বি এস এম এম ইউ.

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও একুশে পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক।




""আব্বু, এই রিসেন্ট ঘটনা নিয়ে যা হলো তাতে পুরো ডাক্তার সোসাইটি খুব কষ্ট পাচ্ছে। ছেলে হিসেবে আমার কষ্ট টা আরেকটু বেশি। হসপিটালে ভাংচুর এর যেই কালচারটা এই দেশে চালু হয়েছে তুমি যখন এটা নিয়ে পেপারে লেখা দিতে গেলা আমি রাগ দেখালাম, কি দরকার এইসব নিয়ে লেখার। মানুষ মনে রাখবে না, কোন প্রতিকার ও হবে না। তুমি বল্লা মানুষ মনে রাখার জন্য তো লিখি না। দেশের মানুষ এর যদি একটু উপকার হয়। আর আজ সেই অভিযোগ তোমার এগেনেস্টে। যারা এটা করছে তারা জানে না কার সাথে করছে, তাদের ফাইট করার কোন গ্রাউন্ড নাই, তাও তারা হুযুগে লড়াইয়ে নামলো...
...যারা আবেগ এর নামে কিছু বিবেচনা না করে ভুল চিকিৎসার ধুয়া তুললো, ভাংচুর করলো, মামলা করলো তাদের প্রতি গভীর গভীর অশ্রদ্ধা।
আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে তোমাকে যা দিয়েছে তাতে তুমি চাইলে অনেক কিছু করতে পারতা। কিন্তু সেই ৯০০ টাকার বাটা স্যান্ডেল আর ইন ছাড়া হাফ শার্ট পড়ে BSMMU, চেম্বার যাওয়ার এই ছিলো তোমার ড্রেস। জীবনে একটা মাত্র ব্লেজার বানালা সাবাহর বিয়ের সময়। এই ৩০০ টাকার ভিজিট থেকে মিনিমাম ৫০০ টাকা করতে কতো তোমার সাথে রাগ দেখালাম। টেক্টফুল্লি প্রসঙ্গ এভোয়েড করতা। বই লেখার জন্য চেম্বার থেকে এসে এক গাদা টেক্সট বই নিয়ে বসে কত কষ্ট করেছো আমি জানি। শুধু নেক্সট জেনারেশন ডাক্তাররা যাতে উপকৃত হয়। তাতে দেশ ও জাতির উপকার হবে। এই ছিলো তোমার ধ্যান। খুব খুব শর্টে এই তুমি সবার প্রফেসর আবদুল্লাহ স্যার, আমার চির লোভহীন, চির সাধারণ বাবা।
এই দেশ তোমাকে কিছু দেয়নি কখনো বলবো না। মানুষ এর অপরিসীম ভালবাসা তোমার জন্য। তোমার স্টুডেন্টরা তোমাকে পিতার মত ভালবাসে। আল্লাহ্‌ এর রহমতে তুমি একুশে পদক পেয়েছো। দেশের খুব নিম্ন পর্যায় থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের মানুষজন আল্লাহ্‌ এর হুকুমে তোমার ট্রিটমেন্টে সুস্থ হচ্ছে। দেশের প্রতিটা প্রান্তে আল্লাহ্‌ তোমার সুনাম ছড়িয়ে দিয়েছে। এই দেশ তোমাকে অনেক দিয়েছে।
কিন্তু দেশের কতিপয় মানুষ যারা না বুঝে তোমাকে বিনা কারণে এই হেয় করলো তাদের সমুচিত জবাব দিতে হবে। দেশের নানা প্রান্তে যেখানে ডাক্তাররা লাঞ্ছিত হচ্ছে তোমার উছিলায় এর একটা প্রতিকার বের করতে হবে। এই কালচারটা বন্ধ করতে হবে। কতিপয় অপদার্থ সাংবাদিক এর লেখনীর জন্য দেশের মানুষ আর ডাক্তার এর মাঝে বিরোধ তৈরি হয়। সাংবাদিকদের প্রতি বিরূপ ধারনা তৈরি হবে এটা আর কত?? দেশে লোভী ডাক্তার নাই, অদক্ষ ডাক্তার নাই, বিহেভিয়ার প্রবলেম নাই, এটা কখনোই বলবো না। কিন্তু এক এক করে তো প্রতিকার বের করতে হবে। যারা ভাংচুর করলো এরাই বড় হয়ে বড় ঘুষখোর হবে, দেশ ধ্বংসকারী হবে। কারণ ওদের তো কোন নীতি নাই, দেশের সম্পদ নষ্ট করতে ওদের কষ্ট হয় না।
তোমার উছিলায় প্রশাসন যদি এইবার ভাংচুর পার্টির এগেইনেস্টে নড়েচড়ে বসে, মিথ্যা হয়রানির বিরুদ্ধে এবার নামতেই হবে। ওদেরকে শাস্তি দিয়ে ফিউচারে এইদেশে কোন কিছু প্রমাণের আগেই এই অতি উৎসুক ভাংচুর পার্টির কার্যক্রম থামাতে হবে। দেশে এই আগাছাদের উপদ্রব কমাতে হবে। আল্লাহ্‌ তোমার সাথে থাকবেন।""



---------------------------------------------------

Share:

Friday, May 19, 2017

চিকিৎসকদের পথপ্রদর্শক মানবতার মহান সেবক অধ্যাপক ডা: এ বি এম আবদুল্লাহ স্যারের কথা বলছি!






ডাঃ এ বি এম আব্দুল্লাহ্

বিভাগীয় প্রধান,মেডিসিন,বি এস এম এম ইউ.

ডিন,মেডিসিন ফ্যাকাল্টি,বি এস এম এম ইউ.

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও একুশে পদকপ্রাপ্ত চিকিৎসক।

এই আব্দুল্লাহ্ স্যার সিংগাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে না বসে শুধু দেশকে ভালোবেসে

বাংলাদেশেই থেকে গেছেন। বি এস এম এম ইউ'তে যতক্ষণ অবস্থান করেন ফ্রি রোগী দেখেন।

বি এস এম এম ইউ'র বাইরে তিনি ভিজিট ২০০০ টাকা না নিয়ে মাত্র ৩০০ টাকা রাখেন,

শুধু বাংলাদেশের গরীব মানুষদের কথা চিন্তা করে।

তার লেখা মেডিসিনের শর্ট কেস বই পড়ে এম বি বি এস লেভেলে

সমস্ত পৃথিবীর মেডিকেল শিক্ষার্থীরা এম বি বি এস পাশ করে।

গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষার্থী  Acute Myeloblastic Leukemia with pneumonia তে

আক্রান্ত হয়ে মারা গেল,মৃত্যুইই ছিল তার অবধারিত গন্তব্য,

সে যদি আমেরিকাতেও চিকিৎসা নিত,মৃত্যু থেকে তাকে ফেরানো যেত না....

স্যার ভুল করেছেন এদেশে থেকে গিয়ে,

এদেশের মানুষ আপনার মত উচুমানের ডাক্তার তথা মানুষের মূল্য দেয়ার যোগ্যতা রাখেনা....

এর চেয়ে ভালো করতেন যদি আপনি বিদেশের হাসপাতালে চিকিৎসা দিতেন।

 সমস্ত পৃথিবীর মানুষ আপনার দ্বারা উপকৃত হত, ১০০০-২০০০ ডলার ভিজিট রাখতে পারতেন।

 আপনার অধীনে চিকিৎসারত অবস্থায় কেউ মারা গেলে সবাই বলতো পৃথিবীর সর্বোচ্চ জায়গায়

 চিকিৎসা করিয়েও যেহেতু রোগী বাচেনি,এই রোগীকে আর কোনভাবেই বাচানো যেতনা....

জীবনে অনেক বড় ভুল করেছেন এদেশকে ভালোবেসে,

এদেশে থেকে গিয়ে,এদেশের মানুষকে সেবা দিয়ে....





লেখা : ডা:মোহাম্মদ টিপু সুলতান







----------------------------------======---------------------------------------------------


Share:

Tuesday, May 16, 2017

চিকিৎসা বিজ্ঞানের উজ্জ্বল নক্ষত্র ডাঃ দিলীপ স্যারের কথা বলছি !


দিলিপ কুমার নাথ নামের এক পাগলের কাছে আমরা পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট এর কোচিং করেছিলাম এমবিবিএস পাশের পর। তিনি নিজেকে পাগল বলতে ভালোবাসতেন, তাঁর কোচিং এ গিয়ে আমি পোষ্টগ্রাজুয়েশনে চান্স পাইনি সেটা আমার ব্যর্থতা, কিন্তু জীবনবোধের অনেক শিক্ষা সেখান থেকেই প্রাপ্ত। তিনি এমন কিছু নতুন নতুন কথা বলতেন যেটা বই কিংবা জার্নালে পাওয়া যেতনা, আমরাও ভাবতাম স্যার এমনি এমনি বলে।
একবার স্যার বললেন, ওরাল ড্রাগ (মুখে খাওয়ার ঔষধ ) না দিয়ে ইনসুলিন দিয়ে ডায়াবেটিস এর চিকিৎসা কইরো, বেশী বেশী করে বিটা সেল কে প্রেশার দিয়ে ইনসুলিন বের করার চেয়ে তাকে রেষ্ট দাও, সে কিছুদিন বিশ্রামে থাকলে আগের জায়গায় ফিরে যেতে পারে। আর যুবক বয়সে বিটা সেল কে রেষ্ট দিও, উলটা পালটা খাইও না , লো ফ্যাট আর লো কার্ব খাও। বিটা সেলের যত্ন নাও সে একসময় তোমার যত্ন নেবে।
৬০তম জাপান ডায়াবেটিক কনফারেন্স, বিশ্বের বাঘা বাঘা প্রফেসর এসে উপস্থিত। শিকাগো ইউনিভার্সিটি,মিশিগান ভার্সিটি থেকে শুরু করে রয়েল কলেজের সব বিজ্ঞানী। আগামী পরশু আসছেন শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর এমিরেটাস ক্রিষ্টোফার জে রোডস। ক্রিষ্টেফার সম্পর্কে একটা কথা বলি, বলা হয়ে থাকে এই পৃথিবীর ডায়াবেটিক চিকিতসায় অর্ধেক অবদান পুরো দুনিয়ার আর বাকী অর্ধেক প্রফেসর রোডস এর।
মজার বিষয় হলো, প্রফেসর ক্রিষ্টেফার নতুন এক গবেষনা নিয়ে বিশ্বের বিজ্ঞানীদের সামনে হাজির হচ্ছেন, জানেন সেই নতুন বিষয় কি?
Resting beta cell for diabetic treatment- বিটা সেলের বিশ্রাম, ডায়াবেটিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে। পুরো আর্টিক্যাল আমাদের আগে থেকেই প্রদান করা হয়েছে।
আমি পড়ছি আর চোখের কোনে একটু করে পানি জমছে, নিকুঞ্জের তিনতলা বিল্ডিং এ বসে থাকা মানুষটার জন্য। কি অপূর্ব মেধা আর প্রজ্ঞা নিয়ে এ মানুষটা দুনিয়াতে এসেছে, জাতির দূর্ভাগ্য আমরা তাকে কাজে লাগাতে পারিনি।
যে কথা বিজ্ঞানীরা এখন বলছে, দিলিপ কুমার বহু আগেই একদিন চিল্লায়া ক্লাসে বলে গেছে।
আমি ডায়াবেটিস সেক্টরের মানুষ বলে হয়তো এই কথাটি এতো ভালো ভাবে মনে আছে। এমনো হতে পারে, এরকম হাজারো কথা আমার মাথা থেকে সরে গেছে।
হে আমাদের ভবিষ্যত ডাক্তারেরা, তোমাদের সৌভাগ্য তোমরা দিলিপ কুমার নাথ এর মতো শিক্ষকের ছোঁয়া পেয়েছো। খুব দুঃখ পাই যখন দেখি শুধু হিংসা বসে আমরা এই মহা মানবকে নিয়ে কটু কথা উচ্চারন করে ফেলি।
যদি আবার কখনো দেশে ফিরে যাই, পা ছুঁয়ে এ মানুষটাকে সালাম করে আসবো। ভালো থাকুন প্রিয় শিক্ষক।

লেখা - Dr.Sharif Qadri
শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ২০০৬-০৭ 
পিএইচডি রিসার্চার, আইচি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, জাপান..





Share:

Definition List

Unordered List

Support

সকল