Sunday, April 27, 2014

Know- স্টেথোর জন্মকাহিনী -

স্টেথোর জন্মকাহিনী -  

অনেকেই বলে থাকেন চিকিত্‍সকের নাকি কর্মবিহীন থাকতে হয়না কখনো । 
অথবা চিকিত্‍সকরা কখনো না খেয়ে মরেনা ।হাতে শুধু স্টেথো ,বিপি মেশিন থাকলে নাড়ি টিপেই স্বচ্ছলতার সাথে বাকী জীবন পাড় করে দেয়া যেতে পারে ।
বলছিলাম স্টেথোস্কোপের কথা ।মেডিকেলে ভর্তির কথা মাথায় এলেই ভেসে ওঠে এপ্রোন পরা গলায় স্টেথোধারি স্বপ্ন মানবের কথা ।
স্টেথোস্কোপ নামটি এসেছে মূলত দুইটি গীক শব্দের সমন্ময়ে যার স্টেথোস মানে বুক এবং স্কোপোস মানে পরীক্ষা করা ।মানব শারীরবিদ্যা নিয়ে গবেষণার শুরুর দিকে মানুষ হৃদযন্ত্র জাতীয় কোন বিশেষ অঙ্গ যে শরীর চালনায় বিশেষ ভূমিকা রাখে তা বুঝতে পারে ।এবং এই যন্ত্র উদ্ভুত শব্দ ও শরীরের বিশেষ কোন অবস্হার নির্দেশ করে সেটাও তারা বুঝতে পারে ।১৮শতকের শুরুর দিকে স্টেথো আবিস্কারের আগে দুধাপে রোগীকে পরীক্ষা করা হতো পারকাসান ও ইমিডিয়েট অসকালটেশন । ইমিডিয়েট অসকালটেশনে চিকিত্‍সকরা রোগীর শরীরে কান লাগিয়ে ভেতরের শব্দ শুনত এতে শব্দের প্রয়োজনীয় অংশ অনেকটায় মিস হয়ে যেত ।অন্যদিকে রোগীর সাথে সরাসরি চিকিত্‍সকের শারিরীক স্পর্শের কারণে প্রায়ই একটা অস্বস্তিকর একটা অবস্হা তৈরি হতো ।একজন French ডাক্তার Rene Theophile Hyacinthe Laënnec (1781–1826) ১৮১৬সালে স্টেথো আবিস্কার করেন ।তিনি যুবতী মহিলাদের শরীরে কান লাগিয়ে শোনার ব্যাপারে অত্যন্ত অস্বস্তীতে ভুগতেন ও এই পরীক্ষা এড়িয়ে যেতেন এবং এই সময় তিনি একটা পেপার রোল করে বুকে লাগিয়ে অপর পাশে কান পেতে শুনলেন অনেক পরিস্কার শব্দ শোনা যায় ।এরপর তিনি এক কানে শোনার MONAURAL স্টেথো আবিস্কার করেন যা তৈরি হয়েছিল কাঠের একটা টিউব দিয়ে এরপর ১৮৫২ সালে BIAURAL স্টেথো আবিস্কার স্টেথো কে আধুনিকতার দিকে অনেকটায় এগিয়ে নিয়ে যায় ।১৯শতকের শুরু থেকেই বাইঅরাল স্টেথো রোগনির্ণয়ের যন্ত্ররুপে ব্যাপক ব্যাবহার শুরু হয় ।২০শতক থেকে নানা রুপে নানা বৈশিষ্ট্যে প্রতিনিয়ত নৈমিত্তিক রুপে পরিবর্তিত হচ্ছে স্টেথো ।ইদানিং ইলেকট্রনিক ডিভাইস যুক্ত স্টেথো শরীরজাত শব্দকে আম্প্লিফাই করে অনেক বেশী শ্রবণ উপযোগি করছে ।

--- By Medicolegal Bappy




Share:

0 comments:

Post a Comment

Definition List

Unordered List

Support

সকল